শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন
বার্তা ডেস্ক:
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় অনাবৃষ্টিতে রবিশস্যের ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে লোকসানের মুখে পড়তে পারেন চাষীরা। প্রচন্ড তাপদাহ, অনাবৃষ্টির এবং খাল-বিলে পানি কমে যাওয়ায় ফসলের ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে পড়েছে। ফসলের গাছ শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। এতে কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, এ উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে ৫২৮০ হেক্টর জমিতে রবিশস্যের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে শৌলজালিয়া, কাঠালিয়া সদর ও আমুয়া ইউনিয়নে আবাদ বেশি। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা সদরের পশ্চিম আউরা ও বড় কাঠালিয়া গ্রামে প্রায় ৪০ হেক্টর জমির রবি শস্য প্রয়োজনীয় পানির অভাব ও রোদের তাপে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে ভ‚ক্তভোগী কৃষকরা লাখ লাখ টাকা লোকশানের মুখে পড়তে পারেন।
এ বছর এপ্রিল পর্যন্ত কোন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ফসলের গাছ বৃদ্ধি হয়নি। ফুল ও ফল রোদের তাপে ঝড়ে পড়েছে। আর যতটুকু ফলন হয়েছে তাতে এখনও পুষ্টি আসেনি।
চাষীদের সাথে কথা বলে জানাযায়, দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতায় ফসল পরিপক্ক হাওয়ার প্রাক্কালে অনাবৃষ্টি ও অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে। কিন্তু এবার বৃষ্টি না হওয়া এবং আশপাশের নালা শুকিয়ে যাওয়া ও পরিমানমত পানি সেচ দেয়া সম্ভব হয়নি। তাই উৎপাদনে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। তাই কৃষকদের লোকশান গুনতে হবে। লোকসান পুষিয়ে উঠতে কৃষকদের বিশেষ প্রণোদনা পাওয়ার দাবি।
পশ্চিম আউরা গ্রামের মো. রিয়াজুল ইসলাম ও মো. মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের আওতায় কোন প্রদর্শনী ক্ষেত করলে সে বিষয়ে মোটামুটি খোজ খবর নেন কৃষি কর্মকর্তারা। কিন্তু ব্যক্তিগত উদ্যোগে কৃষি চাষ করলে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোন যোগাযোগ করেন না। এ পর্যন্ত কোন খোজ খবর নেয়নি উপজেলা কৃষি অফিস।
এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হাছিবুর রহমান জানান, কৃষকদেরকে ফসলের শত্রæ পোকা নিধন ও প্রয়োজনিয় সেচের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ বছর বৃষ্টিপাত না হওয়ায় রবি শস্যের ফুল ও ফল রোদের তাপে ঝড়ে পড়েছে। কিন্তু কিছু কিছু এলাকায় কাছাকাছি খাল না থাকায় সেচ না দেওয়ায় তুলনামুলক ফসল উৎপাদন কম হতে পারে। সার্বিক দিক থেকে এ বছর আবাদ বেশী হয়েছে। পর্যাপ্ত সেচের অভাবে ও বৃষ্টি না হওয়ায় সমস্যা হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র চাষীদের যাচাই বাছাই করে প্রণোদনা দেয়া যেতে পারে।